কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রধান প্রবেশদ্বার লাবণী পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে একটি বিলবোর্ড। দীর্ঘদিন ধরে অর্ধভাঙা অবস্থায় থাকা বিলবোর্ডটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা। তবে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানায়, পরিবেশবিষয়ক বার্তা পৌঁছাতে লাবণী পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছিল একটি সৃজনশীল বিলবোর্ড, যার বার্তা ছিল: “সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ: আপনি-আমি দায়ী নই তো?”। বাঁশ ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই বিলবোর্ডে সামুদ্রিক মাছ, অক্টোপাস প্রভৃতি বস্তু দিয়ে বোঝানো হয়েছিল কীভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রাণিজগতের ক্ষতি করছে। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও ঝড়ো বাতাসে সেটি আংশিক ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘গত ৫ জুন থেকে বিলবোর্ডটি অর্ধভাঙা অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এর নিচ দিয়ে যাচ্ছেন। বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাওন জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন। দেখেও কেউ যেন দেখছে না।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বাতাসেই বিলবোর্ডটি দুলছে। তার নিচে বসে পর্যটকদের ওজন মাপার এক ব্যবসায়ী ও তার যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি লোহার রডে তৈরি একটি ডাস্টবিনও রয়েছে ঠিক তার নিচে। অনেক পর্যটক আশঙ্কা করে ওই এলাকা এড়িয়ে চলছেন, কেউ বা দৌড়ে পার হচ্ছেন।
পর্যটক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ডের নিচ দিয়ে যেতে গা শিউরে ওঠে। একটু বাতাস বাড়লেই ভয় হচ্ছে মাথার ওপর পড়বে না তো? আসলেই প্রশাসনের উচিত এটি দ্রুত সরিয়ে নেয়া। না হয় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি যদি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহলে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।’